
ডাচ বাংলা ব্যাংক এসএসসি শিক্ষাবৃত্তি ২০১৯ – প্রতি বছরের মতো এবছরও এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে সহায়তা করে থাকে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই ব্যাংকটি। গত ৬ মে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল। এর প্রেক্ষিতে ভাল ফলাফলের সাথে উত্তীর্ণ গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সার্কুলার প্রকাশ করেছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। সার্কুলার সূত্রমতে, নিয়ম অনুযায়ি আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাছাইকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে মাসিক ২০০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদার করা হবে। এছাড়া বার্ষিক অনুদান হিসেবে পাঠ্য উপকরণের জন্য ২৫০০ টাকা এবং পোষাক পরিচ্ছেদের জন্য ১০০০ টাকা পাবে শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত মেধাবীরা। যার মেয়াদকাল ২ বছর। অর্থাৎ, এইচএসসি পর্যায়ে অধ্যয়নরত সময়ে এই আর্থিক সুবিধা ভোগ করবে তাঁরা।
রুপায়নের আজকের পোস্টে থাকছে, ডাচ বাংলা এসএসসি শিক্ষাবৃত্তি ২০১৯ সার্কুলার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। আপনি যদি ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের সাথে উত্তীর্ণ একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। তবে যথোপযুক্ত নিয়মে আবেদন করে ফেলুন এখনই।
বৃত্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন। পরবর্তী দিক নির্দেশনা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্কলারশিপ সম্পর্কে কিছু তথ্য
- ডাচ বাংলা ব্যাংক তাঁদের সিএসআর প্রোগ্রামের আওতায়, বিভিন্ন শিক্ষাস্তরে আর্থিক অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। প্রতিবছরই এসএসসি, এইচএসসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ দিয়ে আসছে।
- ডাচ বাংলার এই শিক্ষাবৃত্তি মূলত মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝেই বন্টন করে থাকে। স্কলারশিপ বাজেটের ৯০% বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে গ্রামাঞ্চলে। আর্থিক অসচ্ছল মেধাবী মেয়েদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে এই স্কলারশীপ প্রোগ্রামে।
এসএসসি উত্তীর্ণদের ডাচ বাংলা শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদনের যোগ্যতা
- আপনাকে চলতি বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি কিংবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে
- জেলা পর্যায়ে অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আপনি এসএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী হলে আপনার জিপিএ নূন্যতম ৫.০০ হতে হবে।
- আর আপনি যদি গ্রামাঞ্চল থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী হয়ে থাকেন তবে আপনার এসএসসি ফলাফল নূন্যতম জিপিএ ৪.৮৩ লাগবে।
শিক্ষাবৃত্তির পরিমাণ (টাকায়)
আবেদনের প্রেক্ষিতে বাছাইকৃত বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এছাড়াও বছরে অতিরিক্ত অনুদান পাবেন ৩৫০০ টাকা। যার মধ্যে ২৫০০ টাকা শিক্ষা উপকরন এবং পোষাক পরিচ্ছেদ বাবদ ১০০০টাকা। আর এই আর্থিক সহায়তা পাবেন ২ বছর। অর্থাৎ এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় এই বৃত্তি সুবিধা চালু থাকবে। পরবর্তীতে আবারো আবেদনের প্রেক্ষিতে চালু থাকতে পারে আপনার শিক্ষাবৃত্তি সুবিধা।
ডাচ বাংলা শিক্ষাবৃত্তি আবেদনের নিয়ম

- যারা অন্য কোন খাত থেকে ইতিমধ্যে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন সেসব শিক্ষার্থীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তিতে আবেদন করতে পারবেন না। তবে, সরকারি বৃত্তি সুবিধা ভোগীরা আবেদন করতে পারবেন।
- যোগ্য আবেদনকারীদেরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে app.dutchbanglabank.com/DBBLScholarship এই লিংক ভিজিট করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের স্ক্যান কপি সহ আবেদন করতে হবে।
- আবেদনের সময় প্রয়োজন হবেঃ আবেদনকারী এবং আবেদনকারীর মা-বাবার রঙিন ছবির স্ক্যান কপি (ছবির মাপঃ প্রস্থ ৫০০ থেকে ৬০০ পিক্সেলের মধ্যে, আর উচ্চতা ৭০০ থেকে ৮০০ পিক্সেলের মধ্যে। ছবির সাইজ অবশ্যই ১৫০ কিলোবাইটের নিচে হতে হবে।)
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার মার্কশীট এবং প্রশংসাপত্রের স্ক্যান কপি। (উক্ত স্ক্যান কপি ডকুমেন্টের মাপঃ প্রস্থ ৫০০ থেকে ৬০০ পিক্সেলের মধ্যে, আর উচ্চতা ৭০০ থেকে ৮০০ পিক্সেলের মধ্যে। স্ক্যান কপির সাইজ অবশ্যই ১৫০ কিলোবাইটের নিচে হতে হবে।)
প্রয়োজনীয় তারিখ সমূহ
- আবেদন শুরুর তারিখঃ ৮ মে, ২০১৯
- আবেদনের শেষ তারিখঃ ১৩ জুন, ২০১৯
- প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের তালিকা প্রকাশঃ ১৭ জুন, ২০১৯
- প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতরা ওয়েবসাইট থেকে Primary Selection Letter ডাউনলোড করবে এবং সাথে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের মূল কপি ১৯ জুন থেকে ৯ জুলাইয়ের মাঝে জমা দিতে হবে নিকটস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা / ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে।
- চূড়ান্ত ফলাফলের তারিখ পরবর্তীতে ওয়েবসাইট এবং পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আবেদনকারীদের জন্য রুপায়নের পক্ষ থেকে রইল শুভ কামনা। ডিবিবিএল স্কলারশীপের সকল আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ…
আমি যদি ৪র্থ বিষয়ে ফেল করি তাহলে কি বৃত্তি নবায়ন করতে পারব?
আপনি যদি চতুর্থ বিষয়ে ফেল করেন তাহলে আপনার ফলাফলে আপনি অনেক পিছিয়ে পড়বেন। ফলে স্বভাবতই অন্যান্য মেধাবী এবং ভাল ফলাফলের অধিকারী শিক্ষার্থীরা আপনার জায়গায় সুযোগ করে নিবে। কারণ, তাঁদের বৃত্তি খুবই সীমিত পরিমাণের।
আমি DBBL শিক্ষা বৃত্তি ২০১৯ সার্কুলারের ব্যাপারে আগে জানতে পারিনি। যখন জেনেছি তখন আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমার জিপিএ ৪.৮৯, বিজ্ঞান বিভাগ (গ্রামীণএলাকা থেকে এসএসসি দিয়েছি)। আমার পক্ষে কি এখন DBBL শিক্ষা বৃত্তির জন্য আবেদন করা সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তবে কিভাবে কি করতে হবে জানালে উপকৃত হবো। অগ্রিম ধন্যবাদ।
ডিবিবিএল -এর এসএসসি স্কলারশীপ আবেদনের সময়সীমা যেহেতু পেরিয়েছে পেছে। এখন আর আবেদনের সুযোগ নেই।
আমি এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছি আমি কী বৃতির জন্য আবদেন করতে পারব?
পারবেন। কিন্ত, এবছর তো আবেদনের সময়সীমা শেষ।
আমি 2019সালে এসএসসি তে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক থেকে শিক্ষা বৃত্তি পাই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি বন্ধ আছে। এদিকে অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে।যার জন্য টাকার প্রয়োজন।তাই শিক্ষা বৃত্তি দিলে খুব উপকৃত হই।
কিভাবে বুঝতে পারব আমি বৃত্তি নবায়নে নির্বাচিত হয়েছি কি না দয়া করে জানাবেন
আমাদের বাকি টাকা করোনা র কারণে আর দেইনি ,,,ঐ টাকা টা কি আর দিবে না???? এস এস সি ২০২৯ এর ব্যাচ
2019 সালের এসএসসি ব্যাচ এর স্কলারশিপ নবায়নযোগ্য করছি কিন্তু এখনো টাকা পায়নি। আমাদের কি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে?