
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ -এর বহুল আকাঙ্ক্ষিত সার্কুলারটি প্রকাশিত হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগের জন্য চাকুরিপ্রার্থীদের কাছে আবেদন আহ্বান করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সার্কুলারে পদসংখ্যা উল্লেখ না থাকলেও গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হবে এই সার্কুলারটির মাধ্যমে। এই চাকরিতে বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা। উক্ত পদগুলোর মাঝে ২৫ হাজার ৬৩০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই নিয়োগটির অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। আর তা শেষ হবে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে।
আপনিও কি একজন সরকারি চাকুরীপ্রার্থী? তবে আপনার জন্য আশার আলো নিয়ে আসতে পারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই সরকারি চাকরির খবর। আপনার সুবিধার জন্য এই পোস্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সহ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করা হলো। পুরো পোস্টটি মনোযোগের সাথে পড়ুন এবং উল্লেখিত নিয়মে আবেদন করে ফেলুন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির খবর ২০২০
পদের নাম: সহকারী শিক্ষক
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস
বেতন: ১১০০০ – ২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড – ১৩)
পদের সংখ্যা: অনির্দিষ্ট (প্রায় ৩২ হাজার)
বয়সসীমা: ৩০ বছর (সাধারণ প্রার্থী) / ৩২ বছর (মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটা)
চাকরির ধরন: অস্থায়ী
আবেদন ফি: ১০০ টাকা
আবেদন শুরুর তারিখ: ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট
আবেদনের লিংক: https://dpe.teletalk.com.bd
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ সার্কুলার
যেভাবে প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন করবেন
- প্রথমে ভিজিট করুন https://dpe.teletalk.com.bd এই লিংকে।
- এরপর ক্লিক করুন Application Form বাটনে।
- তারপর স্ক্রিনে আসা ফরমে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম সাবমিট করুন।
- আবেদন ফরম সাবমিট করলে তা Draft হিসেবে জমা হবে এবং আবেদনকারীর একটি User ID পাবেন।
- এবার ঐ Draft Copy -টি খুব ভালভাবে পড়তে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যে সেখানে কোন তথ্যে ভুলভ্রান্তি নেই। যদি কারণবশত কোন ভুল হয়ে থাকে। তাহলে আবারো আগের মত নতুন আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর পুনরায় নতুন একটি নতুন User ID সহ Draft Copy পাবেন। এবারও সেটি ভালভাবে পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন সেখানে কোন ভুল নেই।
- তথ্যে ভুলভ্রান্তি পাওয়া না গেলে এবার সেই User ID দিয়ে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে টেলিটক সিমের মাধ্যমে ১০০ টাকা আবেদন ফি এবং ১০ টাকা টেলিটক সার্ভিস চার্জ জমা দিন। অর্থাৎ মোট খরচ ১১০টাকা। ফি প্রদানের নিয়ম আপনার উক্ত Draft Copy তে উল্লেখ থাকবে।
- আবেদন ফি সফলভাবে দেয়া হলে আবেদনের সময় আপনার প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে User ID সহ একটি পাসওয়ার্ড পাবেন। যা দিয়ে https://dpe.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইট থেকে Download Applicant’s Copy অপশন থেকে আবেদনের ফাইনাল কপি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে নিজের কাছে সংরক্ষন করতে পারবেন।
- লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ হলে আপনার মোবাইল নম্বরে SMS আকারে এডমিট কার্ড ডাউনলোড লিংক পেয়ে যাবেন। আপনার User ID এবং Password দিয়ে সেই এডমিট কার্ডটি উক্ত লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড কোন কারণে ভুলে গেলেও চিন্তা করবেন না। উক্ত লিংকে আপনার যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করলে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ সংক্রান্ত কিছু সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
এবারে কতজন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পাবে?
সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলারে পদসংখ্যা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র বলছে, প্রায় ৩২ হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
কোন কোন জেলার বাসিন্দাগণ আবেদন করতে পারবে?
শুধুমাত্র পার্বত্য ৩ জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) ব্যতীত সকল জেলার বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের বেতন কত?
সরকারি বেতনস্কেল ২০১৫- অনুয়ায়ি সকল বেতন-ভাতা পাবেন নিয়োগ পাওয়া সহকারি শিক্ষকগণ। ১৩ তম গ্রেড অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা প্রতি মাসে পাবেন।
এবারের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে আবেদনকারীর বয়সসীমা কত?
প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক, অন্যান্য সকল সরকারি চাকুরীর মতো এই চাকরিতেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য যে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর। আর আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স অন্তত ২১ হতে হবে। ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে এই বয়সসীমার হিসাব প্রযোজ্য।
আবেদনকারীকে কি পাস হতে হবে?
২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার মোতাবেক, প্রার্থীকে অবশ্যই কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ সহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রীধারী হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া কি অনলাইন নাকি অফলাইন?
বরাবরের মতো এবারের নিয়োগ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক।
আবেদন শুরু হবে কত তারিখ থেকে?
২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে এবারের নিয়োগের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া।
আবেদনের শেষ তারিখ কত?
আগামী ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
আবেদনের লিংক কোনটি?
https://dpe.teletalk.com.bd/ এই লিংক থেকে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করা যাবে।
প্রাইমারি টিচার নিয়োগের আবেদন করব কিভাবে?
অনলাইনে আবেদনের যাবতীয় তথ্য https://dpe.teletalk.com.bd/ এই লিংকে পাবেন। এছাড়া সার্কুলারেও এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা আছে।
আবেদনের ফি কত টাকা?
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের আবেদন ফি মোট ১১০ টাকা। যার মধ্যে ১০০ টাকা আবেদন ফি ১০০ টাকা এবং টেলিটক সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা।
কতক্ষণের মধ্যে আবেদন ফি পাঠাতে হবে?
আবেদন ফরম পূরণের পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আবেদন ফি টেলিটকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
টেলিটক বাদে অন্য কোন সিম দিয়ে আবেদন ফি পাঠানো যাবেনা?
না! এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল অনলাইন কার্যক্রম এবং ফি জমা নেয়ার দায়িত্ব শুধুমাত্র টেলিটক কর্তৃপক্ষের। তাই অন্য সিম দিয়ে ফি দেয়ার সুযোগ নেই।
আমার টেলিটক সিম নেই। আমি কিভাবে প্রাইমারি চাকরির ফি জমা দিব?
কোন সমস্যা নেই! পরিচিত যার টেলিটক সিম আছে তাঁর সিম দিয়েও ফি পাঠাতে পারবেন। কিংবা পরিচিত কেউ না থাকলেও চিন্তা নেই। এলাকার কম্পিউটারের দোকানগুলো এই সার্ভিস দিয়ে থাকে।
আবেদনের সময় ভুল হয়েছে। এখন কি করব?
ফি জমা দেয়ার আগে পর্যন্ত আপনি একাধিকবার আবেদন করতে পারবেন। তাই চিন্তা নেই! ভুল হলে আবারো সঠিকভাবে আবেদন করে ফেলুন।
আমি যদি সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। তাহলে আমার কর্মস্থল কোথায় হবে?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ -অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে নিজ উপজেলা/থানায় নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
বিবাহিত মহিলারা কোন ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করবে? স্বামী নাকি পিতার ঠিকানা?
আবেদনকারী যদি বিবাহিত মহিলা হয়ে থাকেন। তবে তিনি স্বামী অথবা পিতা, যেকোন একজনের ঠিকানা ব্যবহার করবেন। আর সেই ঠিকানাই স্থায়ী হিসেবে বিবেচিত হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই ঠিকানা অনুযায়ী কর্মস্থল দেয়া হবে।
এবারের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কি কোটা আছে?
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভিত্তিতে পরবর্তীতে গেজেট দিয়ে কোটা বাতিলের কারণে এবারের নিয়োগে অন্যান্য কোটাগুলো থাকছেনা। তবে বরাবরের মতো অভ্যন্তরীণ কোটা যেমনঃ পোষ্য, জেলা, মহিলা কোটাগুলো আগের মতোই থাকছে।
অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে কি করব?
আপনি যদি নিয়োগের আবেদন অনলাইনে পূরণ করতে এবং ফি জমা দেয়া সংক্রান্ত কোন সমস্যার সম্মুখীন হোন তবে vas.query@teletalk.com.bd ই-মেইল ঠিকানায় অথবা যেকোন টেলিটক নম্বর থেকে 121 নম্বরে কল করতে পারবেন। এছাড়া নিকটস্থ টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও সরাসরি সহযোগিতা নিতে পারবেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ পরীক্ষা কবে হবে?
এই চাকরির পরীক্ষার তারিখ এখন নির্ধারিত হয়নি। নির্ধারিত হলে আবেদনকারীরা মোবাইলে এসএমএস মাধ্যমে জানতে পারবেন।
Primary Assistant Teacher Job Circular 2020 – dpe.teletalk.com.bd
করোনা পরবর্তী সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে মারাত্মক হতাশায় ডুবেছে তরুণ প্রজন্ম এবং লাখো কোটি বেকার। তাঁদের জন্য অনেক ভাল একটি চাকরির খবর নিয়ে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আকর্ষণীয় এই সরকারি চাকরিতে আবেদন করে ফেলুন। এ সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করুন। সকলের জন্য শুভ কামনা।
বাংলা,ইংরেজি,গণিত,সাধারণ জ্ঞান সব বিষয়ে কি আলাদা আলাদা পাস মার্ক আছে?নাকি সবমিলিয়ে মোট নাম্বার বেশি পেলেই জব হবে?যদি ম্যাথ একটাও না পারি,আর বাকি গুলি সব সঠিক উত্তর দিয়ে ৬০ পাই তবে কি জব পাওয়া যাবে?নাকি সব বিষয়েই আলাদা আলাদা সর্বনিম্ন নির্দিষ্ট একটা মার্ক পেতেই হবে?